খাবারে গোলমরিচের গুঁড়া দিলে অনেক বিস্বাদ খাবারও সুস্বাদু হয়ে যায়। বিশেষ করে স্যুপ কিংবা ডিম সিদ্ধ করে উপরে একটু গোলমরিচ ছড়িয়ে নিলে খাওয়ার স্বাদই বেড়ে যায়। আবার কোনো চাইনিজ রেস্তরাঁয় খেতে গেলেও নুডলসের সঙ্গে একটু গোলমরিচ না হলে চলে না।তবে শুধুই কি স্বাদ বাড়াতে সক্ষম গোলমরিচ? তা কিন্তু নয়। গোলমরিচে এমন কিছু রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মহৌষোধের মতো কাজ করে। তাই কেবল স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেও খাবারে গোলমরিচ দিতে পারেন।সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেও গোলমরিচ অত্যন্ত কার্যকরী, কিন্তু তা ছাড়াও গোলমরিচের বেশ কিছু উপকার রয়েছে।ত্বকের কোনো রোগ থাকলে তার চিকিৎসায় কাজে লাগে গোলমরিচ। গোলমরিচ গুঁড়া করে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বকে সহজে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালন হয়। পিগমেন্টেশন ও অ্যাকনে দূর করতেও সাহায্য করে গোলমরিচ। গোটা মরিচের খোসা অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। ফলে গোলমরিচ দিয়ে খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরবে সহজেই।গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে। কারণ এটি পেটে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়। হজম ঠিক থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা এড়ানো যায়। হজমের সমস্যা থেকে অনেক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। ফলে সেগুলো এড়ানো যায়।যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করেন, তাদের জন্য গোলমরিচ খুবই উপকারী। গোলমরিচ তেলের গন্ধ নিয়মিত সেবন করতে পারেন অথবা সরাসরি গোলমরিচ খেলেও ধূমপানের প্রতি আসক্তি কমবে অনেকটাই। দাঁতে ক্যাভিটি বা ব্যথা থাকলে মুখে গোলমরিচ রাখতে পারেন। ব্যথা নিরাময় করতে গোলমরিচ সাহায্য করে। এমনকি নাক বন্ধ থাকা, হাঁপানি থেকেও মুক্তি দিতে গোলমরিচের জুড়ি মেলা ভার। এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ গোলমরিচ এবং দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শ্লেষ্মা দূর হয় এবং গলা ব্যথা কমে।গোলমরিচ খেলে শরীর গরম হয়ে ঘাম বেশি হয়। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন কমতে থাকে। ফলে ত্বক ভালো থাকে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। গোলমরিচের উপকারিতা খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোল মরিচের তুলনা নেই। অমলেট, পাস্তা, সবজি ইত্যাদি খাবারের সঙ্গে গোল মরিচের ব্যবহার জনপ্রিয়। কেউ কেউ আবার ব্ল্যাক কফিতে সামান্য গোল মরিচ গুড়া মিশিয়ে দিন শুরু করেন। কারণ, স্বাদ ছাড়াও এর রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। গোল মরিচ গাছের আদি উৎস দক্ষিণ ভারত। পৃথিবীর উষ্ণ ও নিরক্ষীয় এলাকায় এটির চাষ হয়ে থাকে। গোল মরিচ ফলটি গোলাকার, ৫ মিলিমিটার ব্যাসের, এবং পাকা অবস্থায় গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১টি মাত্র বিচি থাকে।গবেষণায় জানা গেছে, গোল মরিচে পাইপারিন (piperine) নামের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা থেকে এর ঝাঁঝালো স্বাদটি এসেছে। গোল মরিচে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। হজমের সমস্যা হলে কোন খাবারই শরীরের কাজে লাগে না। আর গোল মরিচে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রোক্লোরিক এসিড আছে যা পাকস্থলীর প্রোটিনের অংশ ভেঙে ফেলার মাধ্যমে হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
গোল মরিচ একটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। এর ইংরেজি নাম Black pepper যার ফলকে শুকিয়ে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গোল মরিচে আছে উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা জীবানু ধ্বংস করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অন্ত্রনালীকে সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আর্য়ুবেদ মতে, গোল মরিচ কফ ও বায়ুনাশক, রুচি বৃদ্ধি করে, কৃমি নাশ করে। পানিতে এর গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে আমাশয়ে উপকার হয়। গোল মরিচ ক্ষুধামন্দা দূর করে। গ্যাসট্রিকের সমস্যা দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। হতাশা কমানোর পাশাপাশি ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে এই মরিচ। গরম দুধে গোল মরিচ আর চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দিকাশি সারে। গোল মরিচ হজমে, জ্বরে, পেটে গ্যাস দূর করতেও উপকারী। গবেষকদের মতে, মরিচের ঝাল খাওয়ার সময় মানব মস্তিষ্কে সেরোটনিন উৎপন্ন হয়। এ হরমোনটি মন ভালো থাকার সময় আমাদের মস্তিষ্কে নিঃসরণ হয়। বিষন্নতা দূর করতেও ভালো কাজ করে গোল মরিচের ঝাল।গোল মরিচের আরেকটি উপকারী দিক হল, এটি দাঁত এবং মাড়ির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণ গোল মরিচ।গোলমরিচের অজানা ৭ উপকারিতা চাইনিজ থেতে গিয়ে হোক, কিংবা ডিমসেদ্ধ, একটু গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নিলে বেশ ভালই লাগে। অনেকে আবার মনে করেন, গোলমরিচ খেলেই বোধহয় পেট গরম করে। কিন্তু শুধু স্বাদই নয়, গোলমরিচের কয়েকটি উপকারিতাও রয়েছে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে গোলমরিচের অজানা ৭ উপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরা হল-১। গোলমরিচ পেটে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা বাড়ায়। তাই এটি হজমে সাহায্য করে। আর হজম ঠিক থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়ার মতো সমস্যাকে এড়ানো যায়। পেটে গ্যাস হওয়া রুখতেও গোলমরিচের জুড়ি মেলা ভার।২। গোলমরিচ খেলে ঘাম বেশি হয়। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন কমতে থাকে।৩। গোটা মরিচের খোসা অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ফলে গোলমরিচ দেওয়া খাবার খেলে কমতে থাকে শরীরের অতিরিক্ত মেদ। ৪। যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ধূমপান করেন, গোলমরিচ তেলের গন্ধ নিয়মিত সেবন করলে বা সরাসরি ভাবে গোলমরিচ খেলে ধূমপানের অভ্যাস কমতে থাকে। ৫। ত্বকের রোগ থাকলে তার চিকিৎসাতেও কাজে লাগে গোলমরিচ। গোলমরিচ গুঁড়া করে, স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বকে সহজে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে। এছাড়া পিগমেন্টেশন ও অ্যাকনে দূর করতেও সাহায্য করে গোলমরিচ। ৬। নাক বন্ধ থাকা, হাঁপানি ইত্যাদি সারাতে সাহায্য করে গোলমরিচ। এক কাপ গরম পানিতে এক টেবিল চামচ গোলমরিচ এবং দুই টেবিল চামচ মধু দিয়ে খেলে শ্লেষ্মা দূর হয়। ৭। দাঁতে ক্যাভিটি বা ব্যথা থাকলে, গোলমরিচ সেই ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। গোলমরিচের উপকারিতা কয়েকটা গোল গোল কালো দানা। তারমধ্যেই হাজারো গুণ। শরীরে মেদ ঝরাতে কত দৌড়ঝাঁপই না করেন সকলে। জানেন কী গোলমরিচের মধ্যেই রয়েছে সেই আশ্চর্য ক্ষমতা। ক্রনিক সর্দি-কাশি থেকেও রক্ষা করে গোলমরিচ। এছাড়াও গোলমরিচের হাজারো গুণ। যা এককথায় বলা প্রায় অসম্ভব।স্যুপ কিম্বা স্যালাড, সবেতেই আছে গোলমরিচ। এর ঝাঁঝালো স্বাদ শরীর এবং মনকে করে তোলে সতেজ। ছোট্ট এই কালো দানার অসীম গুন। শরীর নির্মেদ রাখতে গোলমরিচের জুড়ি মেলা ভার। গোলমরিচের কথা আদি উত্স দক্ষিণ ভারত। গোল মরিচ একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ।গোলমরিচের পুষ্টিগুণ গোলমরিচ(১০০ গ্রাম)ভিটামিন A ও ক্যালসিয়াম প্রোটিন ১১.৫ গ্রাম ফ্যাট ৬.৮ গ্রাম শর্করা ৮৯.২গ্রাম ক্যালসিয়াম ৮৬০ মি.গ্রাম ফসফরাস ১৯৮ মি. গ্রাম আয়রন ১৬.৮ মি.গ্রা ভিটামিন B ১ ০.০৯ মি.গ্রাম ভিটামিন B২ ০১.৪মি.গ্রাম গুলোলা জবাব গোলমরিচ> শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে> অন্ত্রের হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে > কফ-ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে> ওজন কমানোর চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয়> ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে> প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে> গোলমরিচের তেল ব্যথা,যন্ত্রণা দূর করে> ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে গোল মরিচ তাহলে বুঝতেই পারছেন ছোট্ট এই কালো দানার কি জাদু ক্ষমতা। তাই দেরি না করে এখন থেকেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন গোলমরিচ। যা আপনাকে রাখবে সতেজ,নীরোগ। শরীর হবে নির্মেদ, ঝরঝরে।আপনার যে কোনো সমস্যায় সরাসরি আমাদের চিকিৎসকের সাথে কথাবলুনঃ হেড অফিস কলিকাতার নাম্বার +00918334071919 ঢাকাঃ( 01763663333)
“এশিয়া মহাদেশের সর্ব শ্রেষ্ঠ সেবা কারি প্রতিষ্ঠান,”কলিকাতা হারবাল ঢাকা. বাংলাদেশ!
_____